মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬

                                                                  অফিসিয়াল বক্তব্য

           আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল এরই ওয়াদা                                             আমাদের  দিয়েছিলেন 



                                                                 পিডিএফ ডাউনলোড লিংক

                                     অডিও ডাউনলোড লিংক
নিশ্চয়ই, সকল প্রশংসা আল্লাহর। আমরা তাঁর শুকরিয়া জ্ঞাপন করি, তাঁরই ক্ষমা এবং সাহায্য প্রার্থনা করি এবং আমাদের নিজেদের এবং আমাদের কর্মের মন্দের ব্যাপারে তাঁরই কাছে পানাহ চাই। তিনি যাকে হিদায়াত প্রদান করেন তাকে কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারে না এবং তিনি যাকে বিপথে পরিচালিত করেন, কেউ তাকে হিদায়াত প্রদান করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তাঁর কোন শরিক নেই, এবং আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা এবং রাসূল। অতঃপর,
“যখন মুমিনরা শক্র বাহিনীকে দেখল, তখন বলল, আল্লাহ ও তাঁর রসূল এরই ওয়াদা আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল সত্য বলেছেন। এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণই বৃদ্ধি পেল।” (আল-আহযাব ২২)
হ্যাঁ, সত্যিই, এই হলো সেই ওয়াদা যা আল্লাহ করেছিলেন, এই হলো সেই সংবাদ যার নিশ্চয়তা তিনি দিয়েছিলেন, এই যে, আজ কুফফার বিশ্ব যুদ্ধের জন্য বের হয়েছে, জোটবদ্ধ হয়েছে, অনেক দল তৈরি করেছে এবং তাদের সকল পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্রকে একত্রিত করেছে, তার সহযোগীদের, মিত্রদের এবং সমর্থকদের সমবেত করেছে ইসলাম এবং এর অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং মু’মিনদের ও তাদের দ্বীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে। তারা এসেছে তাদের সকল পরিকল্পনা নিয়ে, তাদের সকল যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে যা তারা জমা করতে পেরেছে – আকাশ, ভূমি বা সমুদ্রে- আর এই সবই তারা করছে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দেয়ার তড়িৎ প্রচেষ্টা হিসেবে, তাঁর দ্বীন এবং ভূমিতে তাঁর মানহাজের প্রতি তাদের শত্রুতা থেকে, এবং এই ভয় থেকে যে ইসলাম এবং সুন্নাহর অনুসারীগণ তাদের খিলাফাহ ফিরে পাবে এবং তাদের শক্তি তাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে, তারা ভূমিতে সংহতি এবং বিজয় লাভ করবে, আরও একবার, ঠিক যেমন তারা পূর্বে একবার করেছিলো।
দাওলাতুল ইসলাম আজ যে বিভীষিকাময় বিকট যুদ্ধ এবং মহান যুদ্ধে লিপ্ত, তা –ইনশা’আল্লাহ- শুধু আমাদের ঈমানকে শক্তিশালী করে এবং আমাদের এই বিশ্বাসকে দৃঢ় করে যে, এই সবই একটি দৃঢ় বিজয় এবং পরিষ্কার বিস্তারের চিহ্ন, যার প্রতিশ্রুতি আল্লাহ তাঁর বান্দাদের দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর কিতাব এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে এই উম্মাহর জিহাদের দীর্ঘ ইতিহাসকে ঘেঁটে দেখেছি, এবং তাতে আমরা আমাদের দুশমনদের নিকটবর্তী ধ্বংস এবং নিশ্চিহ্ন হওয়ার পরিষ্কার চিহ্ন দেখতে পেয়েছি, যখন তারা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, যুদ্ধ ঘোষণা করে তাঁর রাসূল, তার দ্বীনের বিরুদ্ধে, যাতে তারা তাঁর বান্দা এবং আউলিয়াদের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং তাদেরকে ভূমি থেকে বের করে দিতে পারে, যার সত্যিকার মালিক হচ্ছেন আল্লাহ এবং তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তাকে এর উত্তরাধিকারী বানান। আল্লাহ, তাবারাক ওয়া তায়ালা, বলেন, “তারা তো আপনাকে এ ভূখণ্ড থেকে উৎখাত করে দিতে চূড়ান্ত চেষ্টা করেছিল যাতে আপনাকে এখান থেকে বহিষ্কার করে দেয়া যায়। তখন তারাও আপনার পর সেখানে অল্প কালই মাত্র টিকে থাকত।” (আল-ইসরা ৭৬)
নিশ্চয়ই, আমাদের সবচেয়ে বড় এবং মহান বিজয়ের শুরু হয় তখনই, যখন আমাদের দুশমনরা দল সমূহ গঠন করে, অহংকারের সাথে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাদের যুদ্ধদ্যমের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে, কারণ ঠিক তখনই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের রক্ষা করেন এবং তাঁর শক্তি-সামর্থ্য কার্যকর হয় এবং তাঁর আধিপত্য প্রকাশ পায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল, নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।  এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে। এবং আমরা সবাই সদা শঙ্কিত। অতঃপর আমি ফেরাউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম। এবং ধন-ভাণ্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে। এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলকে করে দিলাম এসবের মালিক। অতঃপর সূর্যোদয়ের সময় তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল। মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন। অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল। আমি সেথায় অপর দলকে পৌঁছিয়ে দিলাম। এবং মূসা ও তাঁর সঙ্গীদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম। অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জিত করলাম। নিশ্চয় এতে একটি নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী ছিল না।  আপনার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।” (আশ-শু’আরা ৫৩-৬৮) এবং তিনি সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, “এমনকি যখন পয়গম্বরগণ নৈরাশ্যে পতিত হয়ে যেতেন, এমনকি এরূপ ধারণা করতে শুরু করতেন যে, তাদের অনুমান বুঝি মিথ্যায় পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌছে। অতঃপর আমি যাদের চেয়েছি তারা উদ্ধার পেয়েছে। আমার শাস্তি অপরাধী সম্প্রদায় থেকে প্রতিহত হয় না।” (ইউসুফ ১১০)
হে আল্লাহর বান্দাগণ, নিশ্চয়ই, মুসলিমগণের এই জামা’আহ এর ঈমান ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ হবে না যতক্ষণ না তা ঈমানের কারণে মানবজাতির বিরুদ্ধে জিহাদের সম্মুখীন হয় এবং তার প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং সকল শক্তি সমেত বাতিলের অনুসারীদের মোকাবিলা করে, যখন তা নিজে জিহাদের সম্মুখীন এবং দুঃখ-দুর্দশা এবং ক্ষতির তিক্ততায় জর্জরিত, জয়-পরাজয়ে ধৈর্যশীল, এবং ভয়ে আক্রান্ত এবং কম্পিত। তদুপরি তা দৃঢ়পদ থাকে এবং সন্দেহ পোষণ করে না, মর্যাদাশীল থাকে এবং নত হয় না, এবং এর ঈমানের প্রদর্শিত সঠিক পথে অবিচল থাকে –ইনশা’আল্লাহ। যদি এই আহযাব আর এই জিহাদ না থাকতো, তাহলে ঈমান দুর্বল হয়ে পড়তো এবং তা বৃদ্ধ পেত না, হৃদয় সমূহ কুলষিত হয়ে পড়ত এবং তার মেরামত হত না। আমরা দেখতে পেতাম যে মানুষের রূহ সমূহ নিরুদ্যম, ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে, এবং ঈমান কুঞ্চিত হয়ে পড়েছে, আমরা যখন বিলাসিতার মাধ্যমে ফিতনাহগ্রস্থ হই তখন আমাদের অবস্থা এমনই হয়ে দাড়ায়। “আল্লাহ যদি একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যেতো। কিন্তু বিশ্ববাসীর প্রতি আল্লাহ একান্তই দয়ালু, করুণাময়।” (আল বাক্বারাহ ২৫১)
নিশ্চয়ই, ইহুদী, খৃস্টান, নাস্তিক, রাফিদা, মুরতাদ এবং অন্যান্য সকল কাফির জাতিদের মধ্য থেকে আল্লাহর দুশমনরা তাদের গণমাধ্যম, সম্পদ, সেনাবাহিনী এবং যুদ্ধ সরঞ্জামাদি নিয়োজিত করেছে উলাইয়াত নাইনাওয়ার মুজাহিদিন এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য, কারণ তারা দেখতে পেরেছে যে তা খিলাফাহর ছায়ায় ইসলামের ঘাটি সমূহের একটিতে পরিণত হয়েছে। মুসলিমরা মর্যাদা আর নিরাপত্তার সাথে বসবাস করছে দেখে তাদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে, মানুষের জন্য ইসলামের বিধানকে বাস্তবায়িত করার এমন এক উদাহরণ দেখে তার ভারাক্রান্ত হয়েছে, যা মুসলিমগণ দেখতে পারেন এবং তার সাথে জীবনযাপন করতে পারেন, যারা ছায়ায় তারা আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন এবং যার মহত্ব এবং বরকত তারা উপভোগ করতে পারেন। এটাই তাদের সবচেয়ে বড় ভয়, কারণ তা হলো ইসলামের কর্তৃত্বকে বৃদ্ধি করার  এবং এর ভূমিকে বিস্তৃত করার পথ, এবং সেই পথ যার দ্বারা মানুষ ইসলামে প্রবেশ করবে।
সুতরাং, হে নাইনাওয়াবাসীগণ এবং বিশেষ করে মুজাহিদিনগণ, আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন, আপনাদের দুশমনদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এবং তাদের প্রতিহত করার ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়ার ব্যাপারে সাবধান থাকুন, কারণ নিশ্চয়ই, তা ইসলামের বন্ধন সমূহকে খুলে দিবে এবং হক্বের আলোকে নিভিয়ে দিবে।
হে মুহাজিরিন এবং আনসারগণ, আপনাদের দূরদর্শিতা নিয়ে এগিয়ে যান এবং যে ব্যাপারে আপনার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করুন। দুর্দশার সময় ধৈর্য ধারণ করুন, কারণ ক্ষত সমূহ সেরে উঠার সময় নিকটবর্তী হয়েছে, মহত্ব আর ন্যায়পরায়ণতার বানী সমূহ পুনর্নির্মিত হয়েছে এবং হক্ব বাতিলকে প্রতিহত করেছে, কারণ নিশ্চয়ই, এই দিনের পরও আরেকটি দিন রয়েছে এবং নিজের বিষয়াদির ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করাই সর্বোত্তম ফলাফল। আল্লাহ, সুবহানাহু ওয়া তায়াল, বলেন, “ এ দল তো সত্ত্বরই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে।” (আল-ক্বামার ৪৫) আল্লাহ, সুবহানাহু ওয়া তায়ালা, আরও বলেন, “ আর তোমরা কামনা করছিলে যাতে কোন রকম কণ্টক নেই, তাই তোমাদের ভাগে আসুক; অথচ আল্লাহ চাইতেন সত্যকে স্বীয় কালামের মাধ্যমে সত্যে পরিণত করতে এবং কাফেরদের মূল কর্তন করে দিতে, যাতে করে সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে দেন, যদিও পাপীরা অসন্তুষ্ট হয়।” (আল-আনফাল ৭-৮)
হে খিলাফাহ’র সৈনিকগণ, যদি আপনারা আমেরিকান যুদ্ধ বিমান আর তাদের মিত্রদের সামনে দাঁড়ান, তাহলে দৃঢ়তার সাথে উপনীত হোন, তাঁর উপর ভরসা করুন যার হাতে আসমান-জমিনের আধিপত্য, সেই স্বত্বা যার সামনে “পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নাই যা তাঁর পূর্ণ আয়ত্তাধীন নয়। আমার পালনকর্তার সরল পথে সন্দেহ নেই।” (হুদ ৫৬) বলুন, “আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবীদানকারী।” (আল-ইমরান ১৭৩), কারণ তা ছিলো ইব্রাহীমের বাণী যখন তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই কথা বলেছিলেন, যখন তাকে লোকেরা বলেছিল, “তোমাদের সাথে মুকাবেলা করার জন্য লোকেরা সমাবেশ করেছে বহু সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর।” (আল-ইমরান ১৭৩)। এবং জেনে রাখুন যদি আকাশও পৃথিবীর উপর খসে পড়ে, তারপরও আল্লাহ মুমিনদের জন্য একটি রাস্তা খুলে দিবেন।
তাই, হে ইনগ্বিমাসিদের ব্যাটেলিয়ন সমূহ, হে ইসতিশহাদীদের কাফেলা এবং আক্রমণকারীদের দল, হে শাহাদাহ এবং এর পুরস্কার আর তার চেয়েও বেশি কিছু অন্বেষণকারীগণ, হে জান্নাত আর আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে জিহাদকারীগণ, আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যান। নিশ্চয়ই, এই যুদ্ধ আপনাদের যুদ্ধ। কাফিরদের রাতকে দিন বানিয়ে দিন, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিন এবং তাদের রক্তকে নদীর মত প্রবাহিত করুন, কারণ তাই হলো সম্পদের সবচেয়ে বড় অংশ এবং আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত আম্বিয়া, সিদ্দিকিন, শুহাদাহ এবং সালেহিনদের সান্নিধ্য লাভের মাধ্যমে মহান সাফল্য অর্জনের পথ। কতই না মহান এই সঙ্গীগণ। আপনাদের স্লোগান যেন হয়, “হে আমার পালনকর্তা, আমি তাড়াতাড়ি আপনার কাছে এলাম, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন।” (তা-হা ৮৪) ইসলাম এবং মুসলিমদের পক্ষ থেকে আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। আপনার কাফিরদের ত্রাসের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন এবং তাদের নাকে খত দিয়েছেন। আপনাদের জন্য আমরা কোরবান, আল্লাহর পরে আপনারাই আমাদের শক্তি, সামর্থ্য আর সহায়তার উৎস ছিলেন এবং আছেন।
হে ইরাকের আহলুস-সুন্নাহর অনুসারীগণ, আপনারা কি প্রতিবারই কিছু বুঝেন না? আপনারা অপমান আর অবমাননার স্বাদ আস্বাদন করতে করতে এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছেন যে তা আপনাদের সয়ে গেছে, এবং আপনার এমন ভাবে পথভ্রষ্ট হয়েছেন যেমন ভাবে আপনাদের পূর্বে বনী ইসরাইল পথভ্রষ্ট হয়েছিল। আপনারা কি দেখেন না রাফিদারা প্রতিদিন আপনাদের চরম অত্যাচারে জর্জরিত করছে? তারা দাওলাতুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নাম দিয়ে আপনাদের ভূমি সমূহে হামলা চালিয়েছে। কোন কোন সময় তারা আপনাদের পুরুষদের হত্যা করে আপনাদের নারী এবং শিশুদের বন্দী করার আগ পর্যন্ত প্রস্থান করে না, আর কোন কোন সময় তারা আপনাদের (নিজেদের ভূমি) থেকে বিতাড়িত করে। আপনারা কি দেখেন না ইরাকের শহর সমূহ আহলুস-সুন্নাহ শূন্য হচ্ছে এবং জমিনে বিচরণকারী আল্লাহর সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্ট জীবদের দ্বারা পূর্ণ হচ্ছে? যখন তারা আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তখন তাদের ঝাণ্ডা সমূহ দেখুন, যখন তারা আপনাদের অবরোদ্ধ করে তখন তাদের স্লোগান সমূহ শুনুন, যখন তারা আপনাদের নিজেদের ভূমি থেকে বের করে দেয় তখন তাদের কৃতকর্মের ব্যাপারে গভীরভাবে চিন্তা করুন এবং আহলুস সুন্নাহর ভূমি সমূহকে আক্রমণ করার বার্তা সম্বলিত তাদের স্লোগান সমূহ শুনুন, আপনাদের ইরাক থেকে শুরু করে আপনাদের শাম এবং নাজদ এমনকি আপনাদের ইয়েমেন পর্যন্ত।
হে আহলুস সুন্নাহর অনুসারীগণ, এই অঞ্চলে আপনাদের নেতারা ইতিহাসের সবচেয়ে নিচ এবং ঘৃণ্যতম ধরণের বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, কারণ তারা আপনাদের বিষয়াদি এবং আপনাদের ভূমি সমূহকে আপনাদের দুশমনদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। একটি বিদ্বেষপূর্ণ নুংরা দৃশ্যপটে অবিশ্বাসী নাস্তিক, মুশরিক রাফিদা এবং কুলষতাপূর্ণ নুসাইরীরা আপনাদের ভূমি সমূহকে বিভক্ত করছে। যে দৃশ্যপটটির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে, যা পুরো পৃথিবী দেখছে এবং শুনছে। এবং এই যে হালাব, কাফির মাজুসি রাশিয়ানদের সহায়তায় জালিম কুলষিত নুসাইরীদের হামলার সম্মুখীন হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা নুসাইরীদের একটি বিকল্প অস্তিত্ব তৈরি করতে চায়। আর এ সবই হচ্ছে মুরতাদ দল সমূহের বিশ্বাস ঘাতকতার দ্বারা, যারা দাওলাতুল ইসলামের সাথে যুদ্ধে ব্যস্ত এবং তারা তাদের প্রভু আর কুফরের জাতি সমূহের মধ্য থেকে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের স্বার্থ রক্ষায় জমিন থেকে আল্লাহর বিধানকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এবং রোমানদের ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পনা জারি আছে – এমনকি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপদ্বীপেও – যাতে তারা এর কিনারায় রাফিদাদের শক্তিশালী অবস্থানে স্থাপন করতে পারে, এবং তা হচ্ছে আল সালুল সরকারের চরম দুর্নীতির ছত্রছায়ায়, যারা ঐ ভূমিতে বিস্তার লাভের জন্য কাজ করছে যাতে একে ধর্মনিরপেক্ষ করা যায়, যাতে এর জনগণকে কাফিরে পরিণত করা যায় এবং তাদের মধ্যে বঞ্চনা ছড়িয়ে দেয়া যায়। তাছাড়া এমন যেকোন কিছুকে উপড়ে ফেলা যায় যা শারীয়াহ এবং এর অনুসারীদের কোন একটি সম্ভাব্য চিহ্ন বহন করে। তারা সেখানেই থেমে থাকে নি। বরং, তারা বাস্তবিক অর্থে সামরিক ভাবে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ইরাক এবং শামে ইসলাম এবং সুন্নাহ এর বিরুদ্ধে কুফরের জাতি সমূহের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, তাই তারাই হচ্ছে সকল দুর্দশার মাথা এবং সকল দুর্যোগের কারণ।
তাই, হে আরব উপদ্বীপের পুরুষগণ, হে সাহাবাগণের উত্তরসূরিগণ, তাদের উপর একের পর আরেকটি হামলা করুন। আপনাদের সামনেই আছে আল্লাহর দুশমনরা। আপনাদের সামনেই তাদের নিরাপত্তাকর্মীরা, তাদের সৈনিক এবং পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছে। আপনাদের সামনেই আছে তাদের গুণ্ডাপাণ্ডা আর দরবারী আলেমরা। আপনাদের সামনেই তাদের নেতারা, তাদের মন্ত্রীরা আর তাদের মিডিয়ার ভেলকিবাজরা। আপনাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শেষ ইচ্ছার কথা স্মরণ করুন: “আরব উপদ্বীপে দুটি দ্বীন এক সাথে থাকতে পারে না।” (মালিক এবং অন্যান্যদের সূত্রে বর্ণিত)
হে আহলুস-সুন্নাহ! আল্লাহর পর দাওলাতুল ইসলাম ছাড়া আপনাদের দ্বীনকে রক্ষার করার, আপনাদের কর্তৃত্বকে সুরক্ষা প্রদান করার এবং আপনাদের শক্তিকে বৃদ্ধি করার আর কেউ নেই। সেখানে হয়তো আপনারা মর্যাদার সাথে জীবন যাপন করবেন অথবা সম্মানের সহিত মৃত্যু বরণ করবেন। যখন নিচ রাফিদা, কুৎসিত নুসাইরিয়্যাহ এবং বীভৎস নাস্তিকরা আপনাদের স্পর্শ করার সাহসও করবে না।
হে পৃথিবীর পূর্ব এবং পশ্চিমে থাকা তাওহীদবাদী মুসলিমগণ! আমাদের জিহাদ এবং সংঘর্ষের শুরু থেকে ধর্মনিরপেক্ষ মুরতাদ রাষ্ট্র তুরস্ক তাদের কুফরের মিত্রদের সাথে অবস্থান করছে। তা কপটতার সাথে তার এক দিক গোপন রেখে আরেক দিক প্রকাশ করছে, তা ইরাকের উত্তরে এবং শামের অংশ বিশেষে তার নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার চেষ্টা করছে, তারপর শুধু মাত্র মুজাহিদিনগণের ভয়ে তা ফিরে গেছে, এই ভয়ে যে মুজাহিদিনগণ তীব্র অভিযান আর অগ্নিঝরা যুদ্ধ সমূহের দ্বারা তাদের ভূমিকে গ্রাস করে নিবেন। তারপর তারা চিন্তা করলো এবং তাকিয়ে দেখলো। তারপর তারা ভ্রু-কুচকে ঔদ্ধত্যের সাথে এগিয়ে এলো এবং ক্রুসেডার জোটের যুদ্ধ বিমান সমূহের ছত্রছায়ায় পঙ্গু হায়েনার মতো এসে আমাদের যুদ্ধে প্রবেশ করলো। কুফরের জাতি সমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং ইসলামের ভূমি সমূহ রক্ষার লড়াইয়ে মুজাহিদিনগণের ব্যস্ত থাকার সুযোগ তারা নিলো। তারা মনে করলো যে তাদের নিজেদের ভূমি তাওহীদের সন্তান আর জিহাদের সিংহদের হাত থেকে নিরাপদ – কিন্তু জেনে রাখা উচিৎ, মানুষ যে দিকে নিরাপদ বলে নিশ্চিত হয় সেদিক থেকেই বিপদ আসে।
হে মুয়াহহিদিনগণ! আজ, তুরস্ক আপনাদের কর্ম পরিসরে এবং জিহাদের প্রকল্পের আওতায় চলে এসেছে, তাই আল্লাহর সহায়তা কামনা করুন এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন। তাদের নিরপত্তাকে আতঙ্কে এবং তাদের সমৃদ্ধিকে ভয়ে পরিণত করুন, এবং তাদেরকে আপনাদের জিহাদের অগ্নি বলয়ের মধ্যে টেনে নিয়ে আসুন।
হে শামে খিলাফাহর সৈনিকগণ, তুর্কি কাফির সেনারা আপনাদের কাছে এসেছে এবং তাদের রক্ত হলো কুকুরের রক্তের মত – নিচ এবং ঘৃণ্য। তাদেরকে আপনাদের শক্তি প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের ক্রোধের আগুনে তাদের জালিয়ে দিন এবং শয়তানের ভাই, মুরতাদদের মডেল এবং নাস্তিকদের মিত্রদের উপর আপনাদের দ্বীন এবং তাওহীদের জন্য প্রতিশোধ গ্রহণ করুন। তাদের শিরক এবং নিফাক্ব কখনও আপনাদের তাওহীদ এবং ঈমানের উপর বিজয়ী হবে না, কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাক্বওয়াশীলদের সাথে রয়েছেন। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল এরই ওয়াদা আমাদের করেছিলেন।
মুরতাদ ব্রাদারহুড খিলাফাহ’র বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের যুদ্ধের বিষাক্ত বর্মের ফলায় পরিণত হয়েছে। এই বিভ্রান্ত ফিরকার ভ্রষ্টতা শুধু মাত্র বিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে শিরক করা, আল্লাহর সাথে তাঁর বিধানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করা, কুফরের জাতি সমূহের সাথে তাদের কুফরের ব্যাপারে ঐক্যমত্য হওয়া পর্যন্তই থেমে থাকে নি, বরঞ্চ তা দ্বীনহীন এক ফিরকায় পরিণত হয়েছে, জানাদিক্বাহ আর বাতিনিয়্যাহদের মত। বরং, তা ইসলাম এবং এর অনুসারীদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডার জোটের যুদ্ধে একটি বিশ্বস্ত –এবং অত্যাবশ্যক- সামরিক অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। “পক্ষান্তরে যারা শয়তানের ভাই, তাদেরকে সে ক্রমাগত পথভ্রষ্ট তার দিকে নিয়ে যায় অতঃপর তাতে কোন কমতি করে না।” (আল-আ’রাফ ২০২) তাই ইরাক, শাম, লিবিয়া, তিউনিসিয়া এবং অন্যান্য ভূমি সমূহের দিকে লক্ষ্য করুন, আপনারা দেখতে পাবেন মুশিরিকিনরা মানব রচিত আইন এবং কুফরের সংবিধানে অংশ গ্রহণ করছে, যারা ক্রুসেডার, রাফিদি এবং ধর্মনিরপেক্ষ সেনাবাহিনীর সারীতে অবস্থান করছে, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধরত মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে অবজ্ঞার সাথে যুদ্ধ করছে। তারা সত্যিকার অর্থেই শয়তানের ভাই এবং ক্রুসেডারদের চাকর। “ধ্বংস করুন আল্লাহ তাদেরকে। তারা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছে ?” (আল-মুনাফিক্বুন ৪)
হে আল্লাহর রাহে মুজাহিদিনগণ! জেনে রাখুন আজ আপনারাই ইসলামের বর্ম এবং দুর্গ। সাবধান, আমি আবারও বলছি সাবধান – আল্লাহ আপনাদের উপর রহম করুন – যে, ইসলাম এবং মুসলিমগণ ক্ষতিগ্রস্ত হন যখন আপনারা তার দায়িত্বশীল, নিশ্চয়ই আল্লাহ সুন্নাহতে কারও জন্য বিশেষ কোন ছাড় নেই। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) আপনাদের নিয়োগ করেছেন এবং আপনাদের উত্তরাধিকারী বানিয়েছেন, যাতে দেখে নিতে পারেন আপনারা কি করেন। তাই আল্লাহর সাহায্য এবং তাঁর প্রতিশ্রুতিকে কামনা করে আল্লাহকে ভয় করুন এবং আল্লাহর আনুগত্য করুন।  তিনি (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বলেন, “হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। বস্তুত: আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান।” (আল-আনফাল ২৯) তাঁর অবাধ্যতা এবং তার আদেশের বিরোধিতা করাকে এড়িয়ে চলুন, কারণ তা করা আপনাদের সকলের জন্য অমঙ্গলকর। আমি এখন আপনাদের আমিরুল-মু’মিনিন উমার ইবনুল খাত্তাবের সেই চিঠি পড়ে শুনাবো যা তিনি সা’দ ইবন আবি ওয়াক্কাস (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) এবং তার সাথে থাকা সৈন্যদের প্রেরণ করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি আপনাকে এবং আপনার সাথে থাকা সৈন্যদের আল্লাহকে ভয় করার আদেশ প্রদান করছি, কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহকে ভয় করাই দুশমনদের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম অস্ত্র এবং যুদ্ধের সর্বোত্তম কৌশল। আমি আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীদের দুশমনের চেয়ে নিজের গুনাহের ব্যাপারে বেশি রক্ষণশীল হওয়ার আদেশ দিচ্ছি, কারণ একটি সেনাবাহিনীর গুনাহ তার দুশমনদের চেয়েও অধিক ভয়ংকর। সত্যিকার অর্থে, মুসলিমরা তাদের দুশমনদের আল্লাহর অবাধ্যতার কারণেই সাহায্যপ্রাপ্ত। যতি তা না হতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোন শক্তিই থাকতো না। আমাদের সংখ্যা তাদের সংখ্যার মত নয়। আমাদের সাজ-সরঞ্জাম তাদের সাজ-সরঞ্জামের মতো নয়। তাই যদি আমরা তাদের সাথে গুনাহের ক্ষেত্রে সমান হই তাহলে তারা তাদের শক্তি-সামর্থ্যের কারণে আমাদের উপর বিজয়ী হবে। আর যদি আমরা আমাদের ফযিলত দ্বারা তাদের পরাজিত না করি, তাহলে আমরা শুধু শক্তি-সামর্থ্য দ্বারা তাদের পরাজিত করতে পারবো না। জেনে রাখুন, যখন আপনারা সম্মুখে অগ্রসর হন, তখন আল্লাহর পক্ষ হতে আসা অভিভাবকগণ (ফিরিস্তাগণ) থাকবেন, যারা আপনাদের কর্মের ব্যাপারে অবহিত। তাই তাদের সামনে লজ্জাশীল হোন এবং আল্লাহর রাহে যুদ্ধরত অবস্থায় তাঁর অবাধ্যতা করবেন না। এবং এটা বলবেন না যে, ‘আমাদের দুশমনরা আমাদের চেয়ে খারাপ, তাই কখনই আমাদের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রদান করা হবে না, যদিও আমরা গুনাহ করি,’ কারণ অনেক কওম আচে যাদেরকে তাদের চেয়েও নিকৃষ্টরা পরাজিত করেছে, ঠিক যেমন বনী ইসরাইলকে মাজুসী কুফফাররা পরাজিত করেছিলো, যখন তারা (বনী ইসলাইল) আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করেছিলো, “অতঃপর তারা প্রতিটি জনপদের আনাচে-কানাচে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ল। এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল।” (আল-ইসরা’ ৫) আল্লাহর কাছে নিজেদের (মন্দ সমূহের) বিরুদ্ধে এমন ভাবে সাহায্য প্রার্থনা করুন, ঠিক যেমন ভাবে আপনারা আপনাদের দুশমনদের বিরুদ্ধে প্রার্থনা করেন। আমি আমাদের নিজেদের জন্য এবং আপনাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।”
হে মুজাহিদিন! আপনাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “নিশ্চয়ই তোমরা বিজয়ী হবে, (গণিমত) লাভ করবে এবং (অনেক ভূমি) দখল করবে, তাই তোমাদের মধ্যে যেই এই দিনগুলো প্রত্যক্ষ করবে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে, সৎ কাজে আদেশ দেয় এবং অসৎকাজে নিষেধ করে।” (ইবন মাস’উদ হতে আহমাদ এবং আত-তিরমিজী বর্ণনা করেন।)
এই যে আজ, আল্লাহ আপনাদের এই বরকতময় ভূমির উত্তরসূরি বানিয়েছেন এবং আপনাদের এর প্রতিরক্ষা করার এবং তাতে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব প্রদান করছেন। তাই কিছু ভূমি থেকে পিছু হঠা অথবা কিছু নজরদারী পোস্ট ছেড়ে আসার মাধ্যমে শয়তান যাতে আপনাদের পদস্খলিত করতে না পারে সে ব্যাপারে সাবধান হোন। বরং, ধৈর্য ধারণ করুন, রক্ষণশীল হোন, রিবাত করুন এবং দৃঢ়পদ থাকুন। আল্লাহ আপনাদের মর্যাদাশীল করার পর অবমাননার দিকে সরে যাবেন না। মন্দ কিছু দিয়ে উত্তম কিছুকে প্রতিস্থাপিত করবেন না। অধীনতা এবং হীনতায় পতিত হবেন না, যখন আপনাদেরকে তার চেয়ে অনেক উপরে উন্নীত করা হয়েছে। জেনে রাখুন, সম্মানের সাথে আপনাদের ভূমিতে ঠিকে থাকার মূল্য অবমাননার সাথে পিছু হটে আসার চেয়ে হাজার গুণ কম। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বলেন, “  বলুন! তোমরা যদি মৃত্যু অথবা হত্যা থেকে পলায়ন কর, তবে এ পলায়ন তোমাদের কাজে আসবে না। তখন তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে।” (আল-আহযাব ১৬), এবং আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “একদিন এবং এক রাত রিবাতে থাকা এক মাস সিয়াম পালন করা এবং সালাত আদায় করার চেয়েও উত্তম। যদি কেউ তা করতে করতে মৃত্যু বরণ করে, তাহলে সে যে আমল করতো তা তার জন্য লিখা চলতে থাকবে, তার কাছে তার রিজিক নিয়ে আসা হবে এবং কবরের প্রশ্নোত্তর থেকে সে নিরাপদ থাকবে।” (সালমান আল-ফারিসি থেকে মুসলিম বর্ণনা করেন)
তাই যদি আপনাদের গোনাহর কারণে আপনারা কোন ভূমি ত্যাগ করে থাকেন তাহলে তাওবাহ করে আর আল্লাহকে ভয় করে তাতে ফিরে যান, তা করাই আপনাদের জন্য শোভা পায়। মনে রাখবেন, আপনার দুশমন তাগ্বুতের রাহে লড়াই করছে যখন আপনারা লড়াই করছেন আল্লাহর রাহে। তারা কুফরের কালিমার রাহে লড়াই করছে যখন আপনারা আল্লাহর কালিমার রাহে লড়াই করছেন। তারা দুনিয়ার একটি ছোট অংশের জন্য যুদ্ধ করছে, যখন আপনারা বিশাল পুরস্কার এবং এমন এক ব্যবসার জন্য লড়াই করছেন যা আপনাদের একটি বেদনাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে। তারা তাদের হৃদয়ে অশ্লীলতা আর কুফরি নিয়ে যুদ্ধ করছে, যখন আপনারা ঈমান আর কোরআনকে হৃদয়ে ধারণ করে যুদ্ধ করছেন। তারা যুদ্ধ করছে এবং তাদের অন্তিম ঠিকানা জাহান্নাম, যখন আপনারা যুদ্ধ করছেন এবং আপনাদের অন্তিম ঠিকানা আসমান জমিনের সমান বিস্তৃত জান্নাতের বাগানে আর-রাহমানের সান্নিধ্যে –ইনশা’আল্লাহ- “উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি লাভের অধিক যোগ্য কে, যদি তোমরা জ্ঞানী হয়ে থাক। যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় ঈমানকে শিরকির সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী।” (আল-আন’আম ৮১-৮২)। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল এরই ওয়াদা আমাদের করেছিলেন।
আমি আপনাদের নিজেদের মাঝে ইলম এবং আমল, উভয়ের ব্যাপারে বিরোধ এবং মতানৈক্যের ব্যাপারে আপনাদের সাবধান করছি। আপনার সবাই একই দলে, আপনাদের রবের তাওহীদের ঘোষণা প্রদান করছেন, আপনাদের দুশমনদের বিরুদ্ধে জিহাদ করছেন এবং ভূমিতে আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত করার জন্য জিহাদ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। “হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার। আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা রয়েছেন ধৈর্যশীলদের সাথে।” (আল-আনফাল ৪৫-৪৬) বিরোধ হচ্ছে দুর্বলতার কারণ এবং দুশমনের জন্য সাফল্য, ঠিক যেমন মতানৈক্য আপনাদের মধ্যে মন্দতা আর শত্রুতার সৃষ্টির কারণ। ঐসকল জাতি সমূহের মত হবেন না যারা আমাদের পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে, যারা কিতাবের কিছু অংশ গ্রহণ করেছে এবং কিছু ত্যাগ করেছে, অতঃপর আল্লাহ তাদের নিজেদের মধ্যে শত্রুতা এবং ঘৃণা সৃষ্টি করে দিয়েছেন।  তিনি (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বলেন, “অতঃপর তারাও যে উপদেশ প্রাপ্ত হয়েছিল, তা থেকে উপকার লাভ করা ভুলে গেল। অতঃপর আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিয়েছি। অবশেষে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন।” (আল-মায়দাহ ১৪)
আপনাদের উমারাদের সাথে মতানৈক্যের ব্যাপারে সতর্ক হোন। তার কথা শুনুন আল্লাহর নৈকট্য লাভের পন্থা হিসেবে, এবং তাদের আনুগত্য করুন আল্লাহর প্রতি ইবাদত হিসেবে, যতক্ষণ না তারা আপনাদের কোন গোনাহের কাজের আদেশ করেন। এবং জেনে রাখুন, তাদের প্রতি আপনাদের বিরোধিতা হলো জাহিলিয়্যাতের একটি বহিঃপ্রকাশ। একমাত্র ইসলাম, জামা’আহ এবং শুনা ও মান্য করার মাধ্যমে আল্লাহ আপনাদের মর্যাদাশীল করেছেন। “আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুণ্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।” (আল ইমরান ১০৩) মনে রাখবেন এবং আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) এর কালামকে অনুধাবন করবেন, “আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। ” (আর-রা’দ ১১)
খোরাসান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ককেশাস, ফিলিপাইন্স, ইয়েমেন, আরব উপদ্বীপ, সিনাই, মিশর, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকায় খিলাফাহ’র সৈনিকদের প্রতি: জেনে রাখুন আজকে আপনারা হচ্ছেন পৃথিবীর বুকে ইসলামের সাহায্যকারী এবং খিলাফাহ’র লাঠি। আপনারা আপনাদের জিহাদ, ধৈর্য আর দৃঢ়তার মাধ্যমে কুফরের জাতি সমূহকে হতচকিত করেছেন। স্থায়ী অনৈক্যের জাহেলী অজ্ঞতার একটি পৃথিবীতে আপনারা মানুষকে শিখিয়েছেন ঐক্য, আনুগত্য এবং মুসলিমদের জামা’আহকে সমুন্নত করার মাধ্যমে কেমন করে বিজয়ের পথ খুঁজে বের করা যায়। আপনারা আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং জিহাদ করার মাধ্যমে কুফরের জাতি সমূহকে ততটুকুই ক্রোধান্বিত করেছেন যতটুকু ক্রোধান্বিত তারা হয়েছিলো খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করার পর। একই ভাবে, তারা চেষ্টা চালাবে আপনাদের মধ্যে বিভক্তি এবং অনৈক্য সৃষ্টি করে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে, তাই আপনাদেরও ধৈর্যশীল, রক্ষণশীল এবং অকুতোভয় হতে হবে। দৃঢ়পদ থাকুন এবং যুদ্ধ করার আকাঙ্ক্ষা থেকে পিচপা হবেন না। যদি আপনারা ধৈর্যশীল হন, তাহলে আল্লাহ আপনাদের শক্তিশালী করবেন, আপনাদের সাহায্য করবেন এবং আপনাদের পদক্ষেপকে দৃঢ় করবেন। জেনে রাখুন, জান্নাত হচ্ছে তরবারির ছায়াতলে। জেনে রাখুন, যদি আপনাদের কোন নেতা নিহত হয়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহ তাদের জায়গা এমন লোকদের স্থাপন করবেন যারা তাদের সমান বা তাদের চেয়েও উত্তম। আল্লাহ আপনাদের অবহেলা করবেন না, তাই আশাহত হবেন না। অবশ্যই, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।
হে সিরতের মুজাহিদিনগণ, যারা দরিদ্রতা এবং দুর্দশার সময় ধৈর্যশীল! আপনারা আপনাদের ধৈর্যের ব্যাপারে দুশমনদের এক কঠিন শিক্ষা দিয়েছেন। আপনারা আপনাদের পবিত্র রক্ত দিয়ে গৌরব আর দৃঢ়তার এক মহত্বের ব্যাপারে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখেছেন। ক্রুসেডার ইউরোপ তাদের ইরাক এবং শামে ইসলামের দুর্গ এবং খিলাফাহ’র কাঠামোর উপর হামলার করার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে নি, কিন্তু আপনারা আপনাদের জিহাদের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তাকে প্রচণ্ড আঘাত করেছেন এবং তাদের নীতিমালাকে উল্টে দিয়েছেন। আপনারা এমন এক দুর্জয় বাধা এবং কঠিন পাথরে পরিণত হয়েছেন যেখানে তাদের সংকল্প চূর্ণ হবে এবং তাদের পরিকল্পনা সমূহ ধ্বংস হবে। নিশ্চয়ই, আপনাদের দুশমনরাও আপনাদের মতই আঘাত প্রাপ্ত হয়, কিন্তু আপনারা আল্লাহর কাছে পুরস্কার আশা করতে পারেন কিন্তু তারা তা পারে না। তাই আপনাদের জিহাদের ঘাটি এবং আপনাদের রিবাতের জায়গা ত্যাগের ব্যাপারে সাবধান, কারণ আপনাদের দুশমনরা গুটিয়ে যাওয়া কিনারায় পৌঁছেছে।
এই পর্যায়ে, আমরা সর্বত্র থাকা আমাদের সকল মুসলিম ভাইদের স্মরণ করিয়ে দিবো যে যদি ইরাক এবং শামে তাদের জন্য হিজরতের পথ বন্ধ হয়ে যায় কিংবা দুরহ হয়ে পড়ে, তাহলে আল্লাহ তাদের জন্য অন্যান্য বরকতময় উলাইয়াহ সমূহের পথ খুলে রেখেছেন, যেখানে হয়তোবা তারা ইসলামের অন্য এক কাঠামোকে সমুন্নত করছেন এবং আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করা এবং তাঁর কালিমাকে উঁচু করার কাজে অগ্রবর্তী হওয়ার সাওয়াব লাভ করছেন। তিনি (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বলেন, “হে আমার ঈমানদার বান্দাগণ, আমার পৃথিবী প্রশস্ত। অতএব তোমরা আমারই ইবাদত কর।” (আল-‘আনকাবুত ৫৬)
আমাদের সেই সকল ভাইদের প্রতি, যারা জ্বলন্ত কয়লা ধরে আছেন, যাদেরকে আল্লাহ বন্দিত্ব দ্বারা পরীক্ষা করছেন: আল্লাহর কসম, যখন আমরা আল্লাহর দুশমনদের বিরুদ্ধে বিরাট যুদ্ধে লিপ্ত, তখনও আমরা আপনাদের ভুলি নি এবং না আপনারা আপনাদের কখনও ভুলবো। কেমন করে আমরা তা করতে পারি, যখন আপনারা হচ্ছে আমাদের এমন এক নিদ্রা হরণকারী চিন্তা যা কোন ভাবেই দূর হয় না! আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমাদের হাতে আপনাদের মুক্তি লিখে রাখেন এবং আমাদের অস্ত্র সমূহ দ্বারা আপনাদের কারাগার সমূহকে ধ্বংস করেন। আর আল্লাহর জন্য সে কাজ কোন কঠিন কাজ নয়, তাই আপনারা আল্লাহর কাছে আপনাদের দুর্দশার ব্যাপারে আকুলভাবে দোয়া করুন। এবং মনে রাখবেন যে আল্লাহ আপনাদের জন্য এমন এক দিনকে প্রস্তুত করছেন যে দিন আপনারা আপনাদের দ্বীনের এবং আপনাদের রাষ্ট্রের সমর্থক হবেন। আমি আপনাদেরকে দাওলাতুল ইসলামের আপনাদের ভাইদের জন্য দোয়া করার আহ্বান করছি, যাতে আল্লাহ তাদের বিষয়াদির ব্যাপারে তাদের সঠিক পথে চালিত করেন, যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাঁর সর্বোত্তম রিজিক প্রদান করেন এবং তিনি তাদেরকে একমাত্র তাঁর ছাড়া আর কারণ মুখাপেক্ষী না করেন। আল্লাহ আপনাদের বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করুন, আপনাদের পীড়াকে দূর করুন, আপনাদের জখমকে সারিয়ে তুলুন, আপনাদের সংকল্পে দৃঢ়তা দান করুন, আপনাদের স্বস্তি প্রদান করুন এবং আপনাদের জন্য বের হওয়া রাস্তা করে দিন।
হে সর্বত্র থাকা মুসলিমগণ! আমি আপনাদের এবং সাধারণ ভাবে সকল মুজাহিদিনগণকে তাদের শিক্ষক এবং উমারাদের নিহত হওয়া ব্যাপারে সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বিশিষ্ট হচ্ছেন শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল-‘আদনানী এবং শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল-ফুরক্বান –আল্লাহ তাদের উপর রহম করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোচ্চ স্থানে তাদের জায়গা করে দিন। তারা আমাদের মন্ত্রীবৃন্দের মধ্যে সর্বোত্তম ছিলেন এবং উমারাগণের মধ্যে সবচেয়ে সক্ষম ছিলেন, আর তা আল্লাহ তাদের যে সকল গুণ দিয়ে সম্মানিত করেছেন তার কারণে। আর তা হলো তাদের উত্তম অগ্রবর্তীতা, সুদীর্ঘ উৎকর্ষ এবং খিলাফাহ’র কাঠামোকে তৈরি এবং পৃথিবীতে আল্লাহর বিধানকে সমুন্নত করার ক্ষেত্রে তাদের একাগ্রতা, যতক্ষণ না তাদের সময় ফুরিয়ে আসে এবং তারা তাদের উপর যা দায়িত্ব ছিলো তা পূর্ণ করেন। আমরা তাদের ব্যাপারে তাই মনে করি এবং আল্লাহই তাদের বিচারক। তদুপরি আমরা আল্লাহর অনুগ্রহ এবং দয়ায় আপনাদের সুসংবাদ দিচ্ছি যে, তাদের মৃত্যুতে খিলাফাহ হোঁচট খায় নি, ঠিক যেমন তাদের বিয়োগে জিহাদও থেমে যায় নি। বরং, তাদের দেহ সমূহ আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি ছাড়া আর কিছুই নয়, যার মাধ্যমে আমরা তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করি এবং পরিষ্কার বিজয় এবং আসন্ন বিস্তারের দোয় করি – বিইদনিল্লাহ। কারণ আমরা আল্লাহ কিতাবের দ্বারা জানতে পেরেছি যে, সৎপরায়ন ব্যক্তি এবং উমারাদের মৃত্যু হলো ভূমিতে সংহতি এবং দুনিয়া এবং আখিরাতে পুরস্কারের সবচেয়ে কাছের দরজা। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) আম্বিয়া এবং তাদের অনুসারীগণের অবস্থা বর্ণনা করে বলেন, “ আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে লড়াই করেছেন; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।  তারা আর কিছুই বলেনি-শুধু বলেছে, হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফিরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার সওয়াব দান করেছেন এবং যথার্থ আখেরাতের সওয়াব। আর যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।” (আল-ইমরান ১৪৬-১৪৮)
হে আল্লাহ, হে কিতাব নাজিলকারী, মেষমালাকে স্থানান্তরকারী, হে আহযাবকে পরাস্তকারী! তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন! হে আল্লাহ, অপরাধী কাফিরদের শায়েস্তা করুন, যারা আপনার পথে বাধা সৃষ্টি করে, আপনার রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে এবং আপনার আউলিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। হে আল্লাহ, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ইউসুফের সময়ের মতো সাহায্য করুন। হে আল্লাহ, আপনি তাদেরকে গণহারে হত্যা করুন এবং তাদের একজনকেও জীবিত ছেড়ে দেবেন না! হে আল্লাহ, তাদের সমাবেশকে চূর্ণ করুন এবং তাদের ঐক্যকে ভেঙ্গে দিন! হে আল্লাহ, যদি কেউ আমাদের, আমাদের দ্বীন, আমাদের জিহাদের ক্ষতি করার জন্য প্রচেষ্টা চালায় তাহলে আপনি এই ক্ষতিকে তাদের দিকে ফিরিয়ে দিন, যতক্ষণ না তারা তাদের নিজেদের হাতেই ধ্বংস হয়! হে আল্লাহ, আমাদের জন্য পরিকল্পনা করুন, আমাদের বিরুদ্ধে নয়! আমাদের হিদায়াত দান করুন এবং যারা আমাদের বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সহায়তা করুন! আপনি আমাদের রক্ষক! কতই না উত্তম রক্ষক আপনি আর কতই না উত্তম সাহায্যকারী! এবং আমাদের সর্বশেষ আহ্বান হলো, সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের।
  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন